জনাব এ. বি. এম. আরশাদ হোসেন
জনাব এ. বি. এম. আরশাদ হোসেন ১৯৬২ সালে রংপুর জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত আজিজুর রহমান এবং প্রয়াত হোমেরা খাতুনের এর তৃতীয় সন্তান। তাঁর সহধর্মিণী মোছাঃ আনোয়ারা পারভিন একজন গৃহিণী এবং একমাত্র পুত্র আশফাক জাহিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.বি.এ তে অধ্যয়নরত। জনাব আরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে বি.কম (সম্মান) এবং এম.কম ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখে খুলনা বিভাগে সহকারী কমিশনার পদে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সরকারী চাকুরি জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে মাঠ পর্যায়ে সহকারী কমিশনার (অর্থ) কুমারখালী, কুষ্টিয়া, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সোনাতলা, বগুড়া এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উপসচিব হিসেবে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি সমাজ সেবা অধিদপ্তরে পরিচালক(কার্যক্রম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে উপসচিব ও যুগ্মসচিব হিসেবে এবং স্হানীয় সরকার বিভাগে যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে উপ-মহাপরিচালক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে অতিরিক্ত সচিব পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান কর্মস্থল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরে ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে তিনি মহাপরিচালক পদে যোগদান করে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন এবং সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, চায়না, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, রাশিয়া, ফিলিপাইন, ডেনমার্ক ও সুইডেন সফর করেন।
টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আইসিটি'র সর্বোত্তম ব্যবহার ও প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ, প্রযুক্তিগত অবকাঠামো নির্মাণসহ নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর নানামূখী কার্যক্রম পরিচালনায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অধিদপ্তরের সার্বিকভাবে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে তিনি নানাবিধ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছেন। এছাড়াও আইসিটির উন্নয়নের ১১ বছরের অর্জিত সাফল্য ও আউটসোর্সিং খাতে দেশের সক্ষমতা বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরা এবং জ্ঞানভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সমাজ ব্যবস্থায় তিনি কার্যকর ভূমিকা পালন করছেন – যা তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং দশ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সোপান হিসেবে কাজ করবে।