Wellcome to National Portal
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ নভেম্বর ২০১৬

“ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা” শীর্ষক কর্মশালাঃ

 

বিগত ১৪.০১.২০১৫ খ্রি: তারিখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অধিদপ্তর কর্তৃক “ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা” শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মশালায় ৬৪  জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অংশগ্রহন করেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এম.পি ও বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার। সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব জসীম উদ্দিন আহমেদ বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে E-Governance নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। তিনি রংপুরের প্রথম বিভাগীয় কমিশনার কর্মকালীন সময়ের কতিপয় বাস্তব অভিজ্ঞতা সকলের সাথে বিনিময় করেন। বিভাগীয় কমিশনারদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আইটি বিষয়ক নিয়মিত রিপোর্ট প্রেরণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি মাঠ প্রশাসনে থাকাকালীন আইসিটির ব্যবহারে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ডিজিটাল মেলার মাধ্যমে উদ্ভাবনী ধারণাসমূহ উপস্থাপন করা যায়। তিনি আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনয়নের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করেন। ভবিষ্যতে আইসিটি অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সরকারী পর্যায়ে পেপারলেস অফিস স্থাপনসহ ই-সার্ভিস (NESS) প্রদানের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধাদি যেমন ভূমির পরচা, অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন, অনলাইন পত্রিকা, ই-টেন্ডার, ই-কৃষি, পরীক্ষার ফলাফল, ইউটিলিটি বিল, ই-পুর্জি, ই-টিকেট, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি সেবাসমূহ বিস্তৃত পরিসরে সকলের জন্য উন্মুক্ত হবে। তিনি আইসিটি সম্প্রসারণে মাঠ প্রশাসনকে প্রথমে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহন করতে অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে অধিদপ্তর কর্তৃক সময়োচিত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করা হবে বলে উল্লেখ করেন। এসব কাজে সহায়তার জন্য অচিরেই মাঠ প্রশাসনে স্থায়ী আইসিটি অফিসার নিয়োগ করা হবে বলে জানান।

 

আইসিটি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অবকাঠামো/প্রকল্পের গুনগতমান বজায় রাখার বিষয়ে সচেতন থাকতে প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান।সম্মিলিত জাতীয় তথ্য বাতায়ন যা পুরো সরকারযন্ত্রকে একটি ভার্চুয়াল ঠিকানায় নিয়ে এসেছে। সরকারের নানামূখি উদ্যোগ আমাদেরকে বিশ্বায়নের যুগে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে Citizen Centric Digital Unit হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। সিঙ্গাপুরের অনুরূপ IT Skilled Professional তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত করা সম্ভব হবে। শ্রমভিত্তিক খাতের চেয়ে আইসিটি শিল্পে বিদেশী ক্রেতারা পণ্য ও সেবা সংগ্রহে ভবিষ্যতে আরো বেশি আগ্রহী হচ্ছে। সুতরাং, এ খাতে আমাদের সম্ভাবনা অধিক। “Establishing Digital Connectivity” নামক মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ব পরিমন্ডলে আমাদের জনগণের কার্যকর যোগাযোগ স্থাপিত হবে। সম্ভব হবে ফ্রিলান্সিং এর মাধ্যমে বিলিয়ন ডলার অর্থ উপার্জন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

 

ভবিষ্যতে জাতীয় কর্মশালা, আঞ্চলিক কর্মশালাসহ জেলা ও উপজেলায় পর্যায়ক্রমে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আরো তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।